বৃহস্পতিবার

সে আসছে

সে আসছে 
 
গতকাল দেখেছি তাকে 
স্বপ্নে, ভোররাতে 
দেখেছি ধর্মতলায়, ন্যু মার্কেটের ভীড় আয়োজনে 
দোকানের উজ্জ্বলশো কেসে  
নরম পোষাকে 
হাসিমুখ দুষ্টু পুতুলের চোখে সে হাসছে। 
সে আসছে। 
 
কাল ভোররাতে মেখেছি তার শরীরের গন্ধ 
হাতের মুদ্রার ছন্দ 
দুলিয়ে র‌্যাপার 
মশারির ঢেউ 
সমস্ত পৃথিবী দেখি তাকে জানালো কুর্ণিশ 
যখন সে টলোমলো পায়ে পায়ে হাঁটছে 
সে আসছে

অনন্ত এই ছায়ার পথে

অনন্ত এই আলোর পথে যেতে যেতে ছায়া রেখে গেছে। 
আলোর মধ্যে ঘরে ফিরে সেই ছায়াই অন্ধকার। 
নিকষ কালো অন্ধকার। 
স্ত্রী শুধায়, যদি না খোলে এই বন্ধ দ্বার ? 
তবে কোথায় শয্যা পাতো ? 
হলদেটে ঐ ঘাসে ? 
অনন্ত ঐ ছায়ার পথে ? গহন মেঘের পার ? 
 
বর্ষা নামে, বর্ষা নামে 
অন্ধকারে নষ্ট ইজেল ভেজে 
বর্ষা নামে। 
অন্ধকারে চুপিসারে বোবা ঘাস 
আর হিজলপাতা ভেজে 
দরজা খোলো দরজা খোলো 
আলো আসুক ঘরে। 
 
অনন্ত এই যাত্রা পথে মেঘের ছায়া পড়ে 
বর্ষা থামুক, মেঘ কেটে যাক, 
আলো আসুক ঘরে।।

মনের শরীর

শরীর শরীর শুধু নয় মনের আধার মনের আধার শরীর নতুবা আঁধার। তবে তো মনকে ছুঁয়েছো যদি শরীর ছুয়েছো শরীর ছুঁয়েছো যদি মনকে ছুঁয়েছো যদি মনের শরীর আর শরীরের মন ছুঁয়েছে বাহার তবেই শরীরে শরীর হয় মনে হয় মন অকূল পাথার।

যদি হয় প্রকৃত বিষাদ

যদি প্রকৃত বিষাদ হয়, বিকেলের পর যে কোনো প্রহরে তাঁকে ধরে নিয়ে এসো তাঁর জন্যে রেখে দেবো শুদ্ধ আয়োজন। যদি সে সন্ধ্যায় আসে নক্ষত্রের বেদনায় তাঁর বিছাবো আসন যন্ত্রণার সব নীল গায়ে মেখে নিয়ে নতজানু হয়ে তাঁকে কবিতা শোনাবো অথবা যদি সে নিজে অন্ধকারে আসে, বেছে নেয় মধ্যযাম প্রথমে তাঁকে নিয়ে কষে মদ খাবো, তারপর অবিরাম সম্ভোগ করবোআমি তাঁকে সারারাত। যদি প্রকৃত বিষাদ হয়, তবে বিকেলের পর যে কোনো প্রহরে তাঁকে ধরে নিয়ে এসো।

এখন ভাঙন, শুধু বিপন্ন ভাঙন

কবে কোন সুদূর সম্ভাবনায় বীজের উদ্গম হবে 
যাত্রা সেই দুর্গম বন্ধুর পথে,
লোভ তাতে মাত্রাহীন ঝড় ও বৃষ্টির রগড় । 
সৃষ্টি কবে ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত খোসা ছেড়ে 
মানবিক ভোর হবে আবিশ্বে আগামী
ততদিন সময় কঠিন, বিরুদ্ধ, পরাক্রমী। 
 
নিভু দীপশিখা আশ্চর্য ঔজ্জ্বল্যে জ্বলে রবে কিনা সেই প্রশ্নচিহ্ন 
ছিন্ন আশা , সংক্রামক ভাঙনসহ এখন হাজির। 
বীরগাথা, ইতিহাস, আঁটোসাটো ভবিষ্যতে কী কীর্ত্তি বিকাশ
কী মাহাত্ম্য কথন......
ততদিন রবে আলোড়ন চৈতন্যের হাড়রক্তময় ?
নাকি অবক্ষয় 
লয় আর মুগ্ধ অবগাহন ? 
 
এখন ভাঙন শুধু, বিপন্ন ভাঙন।

নবীন ফাগুনে হঠাৎ বৃষ্টি

গমনরতা শীতের আঁচল জড়িয়ে নিলো আচম্বিতে ভ্রমনরত কতেক জলদ বাউন্ডুলে এক লহমায় সকল অবাক, প্রথম ফাগুন, এমনতরো চিকন সবুজ ভিজোয়নি আর পশমসুখী এক মহাজন মুচকি হাসেন, অন্যে দুখী জড়সড়ো সঙ্গোপনে নবীন পথিক যুগলযুবা রোমাঞ্চিত আঙুল জড়ায় ঘনিষ্ঠতার মর্মমূলে।

মঙ্গলবার

শরৎ উৎসবের কয়েক টুকরো

গ্রামে কোনো থীম নেই ঝিম ধরা আলো নেই কালো রাতে তবু জাগে খুশীর হিমেল তারা কাশফুল উৎসবে, গ্রাম তবু মাতোয়ারা। ২ জ্বলেছে আলোকমালা মণ্ডপে ভীড় শহরে গ্রামের বাংলা শিল্পের নজির রসিক দেখছে গ্রাম গ্রামের শিল্প জানেনা বিষন্ন ভেজা ঘাসের গল্প। ৩ সন্ধ্যার আকাশ জ্বলে ওঠে আলো ওই দূরে কাশবনে আঁধার ঘনালো। শারদীয় বাতাসে বেজে ওঠে গান উৎসবে ভেসে চলে খুশীর উজান। রাত হলো অন্ধকার কার্ত্তিক আকাশ। নীচে শূন্য মাঠে একা হিমসিক্ত কাশ। আরো এক শূন্যতার শব্দহীন মাঠে রিক্ত বৃদ্ধা এক সিক্ত যাম কাটে। ৪ বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব কি কি ? উত্তর এলো অনেক দুর্গাপূজা,নববর্ষ আরো কত কী... .. .. শুধু ভীড়ের পিছনে এক শিশু সিরাজুল ইসলাম বিড়বিড় করে বলে পূজা আর ঈদের নাম… .. .. ৫ স্বপ্নের উৎসব শেষ এবার জেগে ওঠো যদি গভীর নিদ্রার বালি খুঁড়ে আনো জীবনের নদী স্নান করো,ধুয়ে ফেলো যদি মোহ আবরন.. .. .. .. .. প্রকৃত উৎসবে তবে হবে অসুর বিসর্জন।। ৬ হোলো শরতের অবসান শেষ হোলো,শেষ হোলো বিষন্ন পাখীর গান। আবার নিস্ফল বেলা জীর্ণ শীতের পাতা ঝরা খেলা। ৭ রাত্রি হল অপার বিষাদে গলে যায় মাটির প্রতিমা গলে যায় আলোকমালা। আনন্দসভায় অনুজ্জ্বল চাঁদমালা। ঝাড়বাতি নিভে গেলো রাত্রি হল। ভার হয়ে নেমে এলো আঁধার ঘনিমা। ৮ দীপাবলী এক আলোর উৎসব ঘরে ঘরে জ্বলেছিলো দিয়া আনন্দ মিতালী, খুশীর কলরব। অমাবস্যার কার্ত্তিক আকাশ, মুগ্ধ চোখে দেখেছিলো আলোর ফোয়ারা অন্ধকার মাটির ওপর,ঝলমলে আলোকে আনন্দের রঙিন ইশারা। ঈদ-উল-ফিতর,আরো এক আলোর উৎসব সেহরি-ইফতারের রোজাময় রমজানের পর এলো খুশীর শিহর,এলো আনন্দ পরব। আজানের শেষে,অন্ধকার পৃথিবী, মুখ তুলে দেখে আকাশ ভরা আলো করা, ঈদের পবিত্র চাঁদ সেই আলো পড়ে সুখে আঁধার মাটির বুকে ভেঙে পড়ে আলোকিত আনন্দের বাঁধ। তবু হাসি নেই খোদাতালা বিশ্ববিধাতার দুই আলোর মাঝখানে জমা অন্ধকার।।

নির্মাণ

এক নির্মাণের ভেতর দিয়ে আরো এক নির্মাণের ভেতর যাওয়া প্রতিক্ষণ, প্রতিদিন সরে যায় পথ ঝরে যায় নবীন কুসুম, সময়ের রথ চড়ে, দূরে যায় বিষন্ন হাওয়া।

কিছু পড়ে থাকে

কিছু পড়ে থাকে ঝরে পড়া পাতার গায়ে সবুজ গন্ধের গান লেগে থাকে। কিছু লেগে থাকে চোখের জলে ভেজা গালের ওপর বেদনার সুখ জেগে থাকে। কিছু জেগে থাকে পাতার নীচে বসা পাখীর ডানায় বাতাস রৌদ্রের প্রাণ জমে থাকে কিছু জমে থাকে ফুরোয় না কিছুই এই নষ্ট পচা আর থ্যাতলানো জীবনকে মাটি তার একতারায় বীজ-সুরে ডাকে।

জাগরণ

স্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দিনগুলি । শূণ্যে। প্রায় বাতাসহীনতার মধ্য দিয়ে যেমন উদ্দেশ্যহীন নিরাসক্তভাবে বুদ্বুদ ভেসে যায়, তেমনই, দিনগুলি । কোনো লক্ষ্য নেই , গন্তব্য নেই, ভর নেই, সময় যেদিকে নিয়ে যায় চলে যায় সেইদিকে। স্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দিনগুলি অর্থাৎ ঘুমের মধ্য দিয়ে। অতি সন্তর্পনে জাগরনের রাজ্যথেকে দূরে। দূরে.......... আলস্যের এক মোহময় আকর্ষণ আছে। সেই আকর্ষণ ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবমান। সদ্য ডানা গজানো পতঙ্গের মতো, আগুনের দিকে । আলস্যকে উপেক্ষা করা কঠিন, মৃত্যুকেও। আলস্যের মধ্যে,স্বপ্নের মধ্যে ভেসে বেড়ানোয় মৃত্যুগমনের ইতিবৃত্ত লিখিত থাকে। মনে হয় পর্যটকের মৃত্যুভয়হীনতাও। জাগরনের ভিতর মৃত্যুভয়হীনতা নেই। বরং মৃত্যুভয়তা আছে। জাগরণে অস্তিত্বের রক্ষার ক্রিয়াশীলতা বর্তমান। সে ক্রিয়াশীলতায় অগ্রসরতা- পশ্চাৎপরতা আছে । জয়-পরাজয় আছে। আনন্দ-বেদনা আছে। সুখ ও দুঃখবোধের অনুভব আছে। মোহ আছে। কাম আছে। সুখের-আনন্দের-জয়ের-বাসনার রোমাঞ্চ আছে। পরাজয়ের বেদনার গ্লানি আছে। অস্তিত্বের সংকট আছে। জাগরনের অনুভবহীনতার ভয় আছে। ফলতঃ মৃত্যুভয়তা আছে। জাগরণ একটা লড়াই, অস্তিত্বের। মৃত্যুর বিরুদ্ধে জীবনের। বেদনার সাথে আনন্দের,পরাজয়ের সাথে জয়ের,অভয়ের সাথে ভয়ের। জাগরণের ভেতর সর্বদা ভয়ের অস্তিত্ব আছে। ভয়ের ভয়াবহতার খেলা আছে। তার প্রভুত্ব আছে। ভয়ের দাসত্বের ইতিহাস আছে,বিমূঢ়তা আছে। বিস্তার আছে। জাগরণে ভয়ের জাগরণ আছে।

দেখা হয় নাই

দেখা হল না
 বন্ধু বলেছিলো, ‘শবরীর প্রতীক্ষা’ মৃদু হেসে ।
 সে অতিকথা। তেমন সত্য প্রত্যয় নেই অন্তর্কোষে। 
তেমন কল্পনা আবিষ্ট রাখে শুধু তৃপ্ত অনুভবে। 
 
 ‘প্রতীক্ষা’র ধ্বনিমূলে সংবৃত আছে এক অদ্ভুত সংগীত এবং দৃঢ় ক্রিয়াশীলতা 
যা মৌল,আমূল টানটান রাখে চেতনায়,প্রেমে।
আবিলতা ছাড়িয়ে সমুদ্যম মর্মমূলে নিষ্ঠার গৌরবে। 
 
 ‘প্রতীক্ষা’ হল যুদ্ধ বিধুত হৃদয়ে সাধনা,আকাঙ্খা ও সংকল্পের প্রেরণা 
যা অনিবার্য তুষার গলায়।
নৃত্য ও সুরের মূর্ছনায়
 অবশেষে নদী বয়,অনিরুদ্ধ। 
জয়ের বৈভবে। 
 
 হয়তো হৃদয়ে ছিলোনা শবরী প্রত্যয় 
তাই দেখা হয় নাই 
দেখা নাহি হয়।

পাথরের অন্ধকার

কাকে বসিয়ে রেখেছো ?
একদিন এ লোকটাই তোমাকে পথে বসাবে 
পাথরের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে দিন ফেরাবে। 
“ দেখো গাছপালা কাঁপিয়ে বৃষ্টি নামছে। 
যত পচা, নষ্ট বাসনা ধুয়ে যাচ্ছে 
শেকড়ে পৌছে যাচ্ছে জল। 
প্রসব করছে নতুন সময়। 
কলকল ঘুঙুর পায়ে গান গেয়ে নাচতে নাচতে ছুটে যাচ্ছে নদী।” 
………এই গল্পকথাশুনিয়ে তুমি যাকে বসিয়ে রেখেছো 
একদিন সেই তোমাকে ঐ নদীতে ছুঁড়ে দেবে।
 কেননা কথাগুলো ক্রমশ জমতে জমতে পাথর। 
পাথর আর পাথরের অন্ধকার।

সোমবার

তাকে অবহেলা করে

সারাদিন দারুণ স্পর্ধায় অবহেলা করি তাকে 
মুগ্ধ করে অবনত জয় 
তারপর বিষন্ন সন্ধ্যায় 
টের পাই আঙুলের ফাঁকে 
খসে গেছে অমল সময়।

বিষয় দু'হাতে যেই

বিষয়কে দু’হাতে তুলে নিতেই হা হা ছুটে এলো প্রাচীন বাতাস 
অভ্রের উজ্জ্বল কণা ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে 
মেহেদির কারুকাজময় পাতা গাছপালা থেকে খসে পড়লো টুপটাপ 
অন্দর কুঠুরীতে গোপন বৈঠক শুরু তৎক্ষণাৎ 
বিমূর্ত বোধ ও অধীত চুলের মধ্যে আঙুলের ঘোরাফেরা 
এবং আশ্চর্য এই 
নদীর ঢেউয়ের শব্দ বেজে উঠলো ছলাৎ ছলাৎ 
সুতরাং সমস্ত বোধ,অন্তরের বনস্থলী, দ্বন্দের শরীর খুটে আবার বিষয় দু’হাতে যেই অমনি ছুটে এলো প্রাচীন বাতাস ,ছড়ালো অভ্রের কণা 
এইরকম ………………প্রতিবার। 
এখন বিষয়হীনতাই শুধু বিষয় হয়েছে 
আর রয়েছে বাতাসের হা হা শব্দ 
এবং আশ্চর্য এই ,
ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ।

বুধবার

সময় সিরিজ

সময়ের আলিঙ্গনে বাঁধা পড়ে সব, কেউ টের পায় , কেউ পায় না
সময় ১
 
হাঁটো, 
সামনে বেড়ালের পদশব্দে কান রাখো 
আঁটোসাঁটো দিন বড় আলোহীন 
তাপ নেই 
লম্বা নয়, সময়ের সাঁকো।
 হাঁটো। 
 
সময় ২
 
 দয়া করো
 হে প্রচন্ড প্রতাপ- বিষম নিয়ন্তা, সময়
 দয়া করো এ অধীনে 
এই ভন্ডামির জীবন, ক্রম অপচয়
আর নুয়ে পড়া দিনে 
হাল ধরো। 
 
সময় ৩
 
তাঁকে সোহাগ করিনি, দুহাতে
জড়িয়ে ধরিনি নিবিড়
ছুঁয়েও দেখিনি চিবুক 
ঠোঁটেও রাখিনি ঠোঁট অমল কামনাতে ।
যখন সে ছিলো, অপার মহিমায়
অনন্ত দিক্বিদিক ছুঁয়ে থাকা মায়া 
তবু অন্ধ, মুঠোবন্ধ, 
আমার গরিমা। 
এখন নিজেই তাঁকে সমস্ত দিয়েছি 
পাঁজর ভেঙেছি 
যা কিছু প্রিয়, আমার , ফেলেছি উপেক্ষায়। 
উড়িয়েছি পশ্চিম বাতাসে। 
এখন তাঁকে আমার সমস্ত দিয়েছি… 
কেবল সেই রয়েছে মুখ ফিরিয়ে।
 
 
সময় ৪ 
 
কথা তার বুননের প্রথা পার করে ছড়ায় আকাশে। 
এলোমেলো ভাসে। 
ভেসে থাকা ভাষা সময়ের গোচর এড়ায় 
মহাশূণ্যে ধেয়ে যায় অনন্তের আশায় 
অবশেষে হননের রীতি নয়, ভালোবেসে 
সে কথার কথা হয় দূর গ্রহে এসে। 
 
 
সময় ৫ 
 
এসো ব্যাভিচার, অশালীনতা। 
ফুল্লকুসুমিত বাসনার ভার ছিঁড়ে খুঁড়ে নাও। 
 
সময় ৬ 
 
মাথা ঝিমঝিম মাথা ঝিমঝিম 
সময় বায়বীয় 
হাতের মুঠোয় অধরা প্রতিম সে ভাষা পরম প্রিয়। 
এমনি সে ঘোর চোখে ঘনঘোর 
শ্রাবণের মেঘ পৌষে 
বরষার ভার মেঘ মল্লার 
হিম চোখে তবু কই সে। 
 
 
সময় ৭ 
 
গিয়েছে প্রাচীন শব্দ। 
এখন নতুন উড়াল।
পাল তুলে চলে নতুন সময়। 
তাকে ঠেলে চলে নতুন বাতাস। 
বিন্যাস বহুদূর তার।বিশ্বজোড়া স্থান। 
বদলেছে ভাষা,ভালবাসা। 
এখন শিহরণ,বেদনার গান 
আর আশা নিরাশার হাল 
ডিজিটাল। 
 
সময় ৮
 
হাঁটে 
সময় সরে যায় 
জল মোহনায় 
মিশে যায় কাল সমুদ্রে। 
ফেরায় না পথে আর। 
কখনো বৃষ্টি, ঘন কালো মেঘের ভ্রুকুটি 
জল থইথই,এলোমেলো ঝড়ে লুটোপুটি 
চরাচর, পারাপার। 
 
থামে সময় 
তবু বয়ে যায় জল। 
কখনো তোড়ে তেড়ে নিয়ে যায়। 
অন্ধকার ধেয়ে আসে ভোরে। 
অনিশ্চয় গতি। 
আবার সঞ্চালন।
ঘুর্ণিব্যুহে পড়ে আলো 
সৃয়মান জল ভেঙে রোদ্দুর ঘনালো। 
চির চরৈবতি।

অনন্ত আশ্রয়

অনন্ত আশ্রয় 
 
কল্পনার অবিমিশ্র অন্ধকারে 
আর এপারে শুধুই অন্ধকার হয় 
শ্রান্ত দিনলিপি।
ধূপের গন্ধময় মৃত্যু

জীবনের গর্ভ থেকে লোভ বয়ে আনে।

হে জীবনানন্দ,

পৃথিবীর সব ট্রামগাড়ি হত্যাকারী নয়

এই ভেবে দুঃখ আমার,

তেমন গন্ধের কারন হবো কবে।



অনেক ব্লগের ভীড়ে আর একটি বাংলা ব্লগ