মঙ্গলবার

জাগরণ

স্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দিনগুলি । শূণ্যে। প্রায় বাতাসহীনতার মধ্য দিয়ে যেমন উদ্দেশ্যহীন নিরাসক্তভাবে বুদ্বুদ ভেসে যায়, তেমনই, দিনগুলি । কোনো লক্ষ্য নেই , গন্তব্য নেই, ভর নেই, সময় যেদিকে নিয়ে যায় চলে যায় সেইদিকে। স্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দিনগুলি অর্থাৎ ঘুমের মধ্য দিয়ে। অতি সন্তর্পনে জাগরনের রাজ্যথেকে দূরে। দূরে.......... আলস্যের এক মোহময় আকর্ষণ আছে। সেই আকর্ষণ ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবমান। সদ্য ডানা গজানো পতঙ্গের মতো, আগুনের দিকে । আলস্যকে উপেক্ষা করা কঠিন, মৃত্যুকেও। আলস্যের মধ্যে,স্বপ্নের মধ্যে ভেসে বেড়ানোয় মৃত্যুগমনের ইতিবৃত্ত লিখিত থাকে। মনে হয় পর্যটকের মৃত্যুভয়হীনতাও। জাগরনের ভিতর মৃত্যুভয়হীনতা নেই। বরং মৃত্যুভয়তা আছে। জাগরণে অস্তিত্বের রক্ষার ক্রিয়াশীলতা বর্তমান। সে ক্রিয়াশীলতায় অগ্রসরতা- পশ্চাৎপরতা আছে । জয়-পরাজয় আছে। আনন্দ-বেদনা আছে। সুখ ও দুঃখবোধের অনুভব আছে। মোহ আছে। কাম আছে। সুখের-আনন্দের-জয়ের-বাসনার রোমাঞ্চ আছে। পরাজয়ের বেদনার গ্লানি আছে। অস্তিত্বের সংকট আছে। জাগরনের অনুভবহীনতার ভয় আছে। ফলতঃ মৃত্যুভয়তা আছে। জাগরণ একটা লড়াই, অস্তিত্বের। মৃত্যুর বিরুদ্ধে জীবনের। বেদনার সাথে আনন্দের,পরাজয়ের সাথে জয়ের,অভয়ের সাথে ভয়ের। জাগরণের ভেতর সর্বদা ভয়ের অস্তিত্ব আছে। ভয়ের ভয়াবহতার খেলা আছে। তার প্রভুত্ব আছে। ভয়ের দাসত্বের ইতিহাস আছে,বিমূঢ়তা আছে। বিস্তার আছে। জাগরণে ভয়ের জাগরণ আছে।

1 টি মন্তব্য:

  1. “এলোমেলো ভাবনা” র সাথে একমত না হলেও লেখাটি ভালো লাগল। জাগরণে মৃত্যুভয় হয়ত ব্যাক্তিগত ভাবনা। তবে অনুভবহীনতার ভয় ব্যাপারটা বেশ ভাবাচ্ছে...এমন যদি কখনও হয় তবে বোধকরি খুবই ভয়ঙ্কর সে সময়।

    উত্তরমুছুন

ধূপের গন্ধময় মৃত্যু

জীবনের গর্ভ থেকে লোভ বয়ে আনে।

হে জীবনানন্দ,

পৃথিবীর সব ট্রামগাড়ি হত্যাকারী নয়

এই ভেবে দুঃখ আমার,

তেমন গন্ধের কারন হবো কবে।



অনেক ব্লগের ভীড়ে আর একটি বাংলা ব্লগ