মঙ্গলবার

শরৎ উৎসবের কয়েক টুকরো

গ্রামে কোনো থীম নেই ঝিম ধরা আলো নেই কালো রাতে তবু জাগে খুশীর হিমেল তারা কাশফুল উৎসবে, গ্রাম তবু মাতোয়ারা। ২ জ্বলেছে আলোকমালা মণ্ডপে ভীড় শহরে গ্রামের বাংলা শিল্পের নজির রসিক দেখছে গ্রাম গ্রামের শিল্প জানেনা বিষন্ন ভেজা ঘাসের গল্প। ৩ সন্ধ্যার আকাশ জ্বলে ওঠে আলো ওই দূরে কাশবনে আঁধার ঘনালো। শারদীয় বাতাসে বেজে ওঠে গান উৎসবে ভেসে চলে খুশীর উজান। রাত হলো অন্ধকার কার্ত্তিক আকাশ। নীচে শূন্য মাঠে একা হিমসিক্ত কাশ। আরো এক শূন্যতার শব্দহীন মাঠে রিক্ত বৃদ্ধা এক সিক্ত যাম কাটে। ৪ বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব কি কি ? উত্তর এলো অনেক দুর্গাপূজা,নববর্ষ আরো কত কী... .. .. শুধু ভীড়ের পিছনে এক শিশু সিরাজুল ইসলাম বিড়বিড় করে বলে পূজা আর ঈদের নাম… .. .. ৫ স্বপ্নের উৎসব শেষ এবার জেগে ওঠো যদি গভীর নিদ্রার বালি খুঁড়ে আনো জীবনের নদী স্নান করো,ধুয়ে ফেলো যদি মোহ আবরন.. .. .. .. .. প্রকৃত উৎসবে তবে হবে অসুর বিসর্জন।। ৬ হোলো শরতের অবসান শেষ হোলো,শেষ হোলো বিষন্ন পাখীর গান। আবার নিস্ফল বেলা জীর্ণ শীতের পাতা ঝরা খেলা। ৭ রাত্রি হল অপার বিষাদে গলে যায় মাটির প্রতিমা গলে যায় আলোকমালা। আনন্দসভায় অনুজ্জ্বল চাঁদমালা। ঝাড়বাতি নিভে গেলো রাত্রি হল। ভার হয়ে নেমে এলো আঁধার ঘনিমা। ৮ দীপাবলী এক আলোর উৎসব ঘরে ঘরে জ্বলেছিলো দিয়া আনন্দ মিতালী, খুশীর কলরব। অমাবস্যার কার্ত্তিক আকাশ, মুগ্ধ চোখে দেখেছিলো আলোর ফোয়ারা অন্ধকার মাটির ওপর,ঝলমলে আলোকে আনন্দের রঙিন ইশারা। ঈদ-উল-ফিতর,আরো এক আলোর উৎসব সেহরি-ইফতারের রোজাময় রমজানের পর এলো খুশীর শিহর,এলো আনন্দ পরব। আজানের শেষে,অন্ধকার পৃথিবী, মুখ তুলে দেখে আকাশ ভরা আলো করা, ঈদের পবিত্র চাঁদ সেই আলো পড়ে সুখে আঁধার মাটির বুকে ভেঙে পড়ে আলোকিত আনন্দের বাঁধ। তবু হাসি নেই খোদাতালা বিশ্ববিধাতার দুই আলোর মাঝখানে জমা অন্ধকার।।

২টি মন্তব্য:

ধূপের গন্ধময় মৃত্যু

জীবনের গর্ভ থেকে লোভ বয়ে আনে।

হে জীবনানন্দ,

পৃথিবীর সব ট্রামগাড়ি হত্যাকারী নয়

এই ভেবে দুঃখ আমার,

তেমন গন্ধের কারন হবো কবে।



অনেক ব্লগের ভীড়ে আর একটি বাংলা ব্লগ